আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিনা ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে না পারার বন্দোবস্ত করার তাগিদ গণসংহতি আন্দোলনের

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভবিষ্যৎ কেউ বিনা ভোট এমপি মেয়র চেয়ারম্যান মেম্বর হতে না পারে সেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে হবে বলে জানান গণসংহতি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

১৯ অক্টোবর (শনিবার) চট্টগ্রামের রাউজান পথের হাট কর্ণফুলী কনভেনশন হলে গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম রাউজান উপজেলার উদ্যোগে ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পূর্ব ও পরবর্তী রাউজানের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় লক্ষ্যে গণসংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত গণ সংলাপে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন রাউজানের সংগঠক মোঃ মোরশেদুল আলম। মোঃ হাবিবউল্লাহ রাসেল এর সঞ্চালনায় গণ সংলাপে অংশগ্রহণ করেন গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য হাসান মারুফ রুমী,গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক নাসির জসি,গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অ্যাড.সাহাদাৎ হোসেন তালুকদার,গণসংহতি আন্দোলন উত্তর জেলার সদস্য সচিব জাহেদুল আলম আল জাহিদ,গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম চান্দগাঁও থানার আহ্বায়ক ইকবাল মাসুদ,চট্টগ্রাম বোয়ালখালী থানার আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মুক্তিয়ার প্রমুখ।

গণ সংলাপে বক্তারা বলেন, ২০১৪ সালে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয় ফজলে করিম।তখন থেকে রাউজান হয়ে উঠে বিনা ভোটের দারুণ মডেল পুরো বাংলাদেশের মধ্যে। ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার দোসর ফজলে করিম উন্নয়ন নামে রাউজানে কে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করেছিল।১৬ বছর রাউজানবাসী ছিল গুম-খুন-হত্যা-দখল-সন্ত্রাসী- চাঁদাবাজি নির্যাতনের শিকার।রাউজানবাসীদের অদৃশ্য  আয়না ঘরে বন্দি করে রেখেছিল এই জালিম ফজল করিম।রাউজানে হয়নি কোন উপজেলা পৌরসভা  কিংবা ইউপি নির্বাচনের কোন ভোট।স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারতেন না তিন লাখ ভোটার।ফজলে করিম যাকে মনোনয়ন দিতেন সেই চেয়ারম্যান,সেই মেম্বার,সেই মেয়র, সেই স্বাক্ষরিত মহিলা ওর্য়াডের প্রতিনিধি।ভবিষ্যৎ কেউ বিনা ভোট এমপি মেয়র চেয়ারম্যান মেম্বার হতে না পারে সেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে হবে।

ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানে মানুষের ভেতর রাষ্ট্র পুনর্গঠনের যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছে,সেই আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের মাঝে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কথা হচ্ছে।

সেই বন্দোবস্ত হবে গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত।মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষাই কিন্তু ছিল একটি গণতান্ত্রিক দেশ।কিন্তু প্রত্যেকটি সরকার মানুষের আকাঙ্ক্ষার মূল্য কম দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশটার জন্ম দিয়েছে, যদিও মুক্তিযোদ্ধাদের অভিভাবক হতে দেয়নি।হাজারো শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে,সেই সম্ভাবনাকে আমরা সবাই মিলে বাস্তবে রূপায়ন করতে হবে।এই অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন রাষ্ট্র  গড়া একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে,সেই বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তুলতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উক্ত গণ সংলাপে অংশ নেন সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আবুল বশর,হাসান মুরাদ শাহ,শিক্ষক খসরু,ইলিয়াস তালুকদার,আরিফ,নাজমুল হাসান আসিফ,রুবেল হোসেন, শুভাশিষ ভট্টাচার্য,স্বপন আচার্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর